বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে আলালের কুশপুতুল পোড়ানোর আগে তাতে জুতাপেটা ও ঝাড়ুপেটা করা হয়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুশপুতুল পুড়িয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপ, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলীয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিও জানান তারা।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “এই আলালরা (মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল) মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিল? এই আলাল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেভাবে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে, সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
“আলালকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানে গণধোলাই ও জুতাপেটা করা হবে।”
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার নিয়ে জয় বলেন, “আমরা মনে করি, উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। পাশাপাশি যারা ঘটনাস্থলে ছিল না, তারা যেন শাস্তির আওতায় না আসে, সেটাও বিজ্ঞ আদালতকে বিবেচনায় নিতে হবে।”
আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েটের ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান ছাত্রলীগ সভাপতি।
“বুয়েটের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করে দেখি, একই দেশে দুজন শিক্ষার্থীর জন্য, একই প্রতিষ্ঠানের দুজন শিক্ষার্থীর জন্য কেন দুটি আইন বলবৎ থাকবে।”
লেখক বলেন, ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপকে শিবিরের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল! সে মামলার রায়ের কী অবস্থা? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী হত্যার রায়ের কী অবস্থা? একই দেশে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি আইন, আরেকটি ছাত্র সংগঠনের জন্য আরেকটি আইন হবে কেন?"
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার বিভিন্ন কলেজের নেতাকর্মী অংশ নেন।