তারুণ্যের শক্তিই গড়বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যে শেখ হাসিনা চলছেন, তা বাস্তবায়নে তারুণ্যের শক্তির উপরই বাজি ধরছেন তিনি।

বুধবার আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে।

“বাংলাদেশটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তারুণ্যের শক্তিটাকেই গুরুত্ব দিয়েছে।”

তরুণ সমাজ যেন সেই পথে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুব সমাজের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এটাই যে এই যুব সমাজ দেশে-বিদেশে যেখানেই যাক, কাজ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আর সেই কারণেই আমরা আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি ২০১৮ সালে, সেখানে কিন্তু যুব সমাজকেই উৎসর্গ করেছি- তারুণ্যের উন্নতি,বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।”

সংগঠনের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের বক্তব্যের প্রশংসা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলা, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন।

“আমি মনে করি, এই লক্ষ্যগুলো সামনে নিয়ে যদি সত্যিই যুবলীগ গড়ে উঠে, তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব (পরশ) যে চমৎকার বক্তৃতা দিয়েছেন, এরপরে মনে হয় আমার কিছু বলার থাকে না। সে নির্দেশনা যেগুলো দিয়েছে, সেগুলো মেনে চললেই যথেষ্ট।”

যুবলীগের নেতাকর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারীতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাজের প্রশংসা  করে তিনি বলেন, “খাদ্য সাহায্য দিয়েছে, চিকিৎসা সাহায্য দিয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে, সব ধরনের কাজ করেছে।”

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ অভিযান, ধানকাটা কৃষকদের, গৃহহীনদের ঘর দিতে সহযোগিতার জন্যও যুবলীগের ভূমিকার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

“আজকে যুবলীগ প্রায় ৬১টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার যে প্রকল্প নিয়েছে, বাস্তবায়ন করেছে, এভাবেই মানুষের সেবা করা দরকার।”

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে যুবলীগের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।