মুরাদকে নিয়ে আলোচনার মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তারকে প্রশ্ন করলে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, “কেউ যদি কোনো অভিযোগ দেন বা মামলা হয়, তাহলে আমরা দেখব। না হলে আমরা এটা নিয়ে এ মুহূর্তে ভাবছি না।”
অডিও কেলেঙ্কারির ঘটনার পর চিত্রনায়ক ইমনকে ডিবি কার্যালয়ে দেখার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের খবর চাউর হয়েছিল।
তবে হাফিজ বলেন, “ইমন তার ফেইসবুক নিয়ে কী সমস্যায় আছে, সে কারণে আমার জুনিয়র অফিসারদের কাছে গিয়েছিল।”
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এক আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী এবং নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য করেন, যার সমালোচনা হচ্ছে।
জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিকর’ বক্তব্যের জন্য মুরাদ হাসান ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ইতোমধ্যে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ওই ভিডিওর পর এক চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের একটি টেলিকথোপকথন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের ‘অশালীন ভাষার’ সমালোচনার পর তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়েও মুরাদের বিরুদ্ধে ‘অশালীনর’মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।