শনিবার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শেখ ফজলুল হক মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘শেখ ফজলুল হক মণি; সৃষ্টিশীল তারুণ্যের প্রতীক’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী বলেন, মণি ভাইয়ের জন্মদিনে স্মরণসভা করব এটা কখনও ভাবি নাই। জন্মদিন যেমন আনন্দের, তেমনি জন্মদিনে স্মরণসভা অত্যন্ত বিয়োগান্তক বেদনা বিধুর।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা শুধু প্রমাণ করেন নাই, শুধু বাস্তবায়িত করেন নাই, এটাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন শেখ মণি ভাই।“
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা শুধু রাজনীতিবিদ তৈরি করবেন তা নয়, আপনারা নেতা তৈরি করবেন। সব ক্ষেত্রে নেতার প্রয়োজন রয়েছে।
“মণি ভাইয়ের জন্মদিনের আবহ তৈরি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের, বেদনা বিধুর। শেখ ফজলুল হক মণি শুধু ব্যক্তি নয়, একজন প্রতিষ্ঠানও বটে।"
যুবলীগ চেয়ারম্যান ও শেখ মণি’র বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, "বাবার যেই বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়, সেটা হল বাবার কর্ম ও বাবার মমত্ববোধ। তিনি আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ছিলেন না, নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তার অপরিসীম মমত্ববোধ ও দরদ। একজন কর্মী মারা যাওয়ায় আমি বাবাকে শিশুর মত কাঁদতে দেখেছি।
"শেখ মণি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করে যুবসমাজকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করে একটা সুখী, সমৃদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে আজকে বঙ্গবন্ধু কণ্যার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে।"