খালেদাকে ‘মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’ সরকার, অভিযোগ মির্জা ফখরুলের

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে না দিয়ে সরকার ‘সচেতনভাবে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2021, 10:17 AM
Updated : 3 Dec 2021, 10:44 AM

শুক্রবার এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে সচেতনভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে হত্যা করা হচ্ছে- এই কথা আমরা বার বার বলছি। পৃথিবীর সমস্ত দেশ এটা জানে।

“আমাদের দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, বুদ্ধিজীবী সবাই বলেছেন যে, দেশনেত্রীকে বাইরে চিকিৎসা করার সুযোগ দেন।”

বর্তমান ‘দুঃশাসনকে’ পরাজিত করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।”

বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এটা বেশিদিন চললে তিনি বাঁচবেন না।

লিভার সিরোসিসের ভালো চিকিৎসা বাংলাদেশে নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “একমাত্র আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে এ রোগের চিকিৎসা ভালো হয়।”

১৩ নভেম্বর থেকে সিসিইউতে থাকা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাকে ‘বিদেশের উন্নত সেন্টারে’ নেওয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করেছে।

এই সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তবে তার জবাব আসেনি ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধন হয়। সহস্রাধিক নেতা-কর্মী তার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী ও গোলাম হাফিজ কেনেডি বক্তব্য দেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৫ নভেম্বর থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো সমাবেশ, মানববন্ধনের ধারাবাহিক কর্মসূচি করে যাচ্ছেন। শনিবার ছাত্রদলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে ৮ দিনের এ কর্মসূচি শেষ হবে।