বুধবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তার এ মন্তব্য আসে।
ফখরুল বলেন, “কেন সরকার তাকে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলে।… এই আইনের মধ্যেই বলা আছে, সরকার ইচ্ছা করলে তাকে বিদেশে যেতে দিতে পারেন।
“বাধা আইন নয়, বাধা হচ্ছে সরকার, এই অবৈধ সরকার। তারা (সরকার) আজকে গণতন্ত্রের যে মূল কণ্ঠ, যার কণ্ঠে বাংলাদেশে উচ্চকিত হয়, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা স্তব্ধ করে দিতে চায়, তাকে তারা কথা বলতে দিতে চায় না, তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সুচিকিৎসার জন্য তাদের নেত্রীকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে সরকার বলছে, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করতে হবে, তখন সরকার বিবেচনা করতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়ার দাবিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মৌন মিছিলের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে এই সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
মহিলা দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে নারী পুলিশের সদস্যরা চারদিক থেকে তাদের ঘিরে রাখেন।
মহিলা দলের এই মৌন মিছিলের কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাখা হয় প্রিজন ভ্যান ও জলকামানের গাড়ি।
“তাদের বলেছি, মিছিল করার আপনাদের কোনো অনুমতি নেই। তারা কিছু করলে পার্টির অফিসের সামনে করতে পারে।”
সমাবেশে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “মা-বোনেরা, আপনারা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বললে হবে না। আপনাদের সবাইকে ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের মা-বোনদের জাগিয়ে তুলতে হবে, সমস্ত মানুষকে একত্রিত করতে হবে, সংঘবদ্ধ করতে হবে।
“আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই গণতন্ত্র মুক্ত করার আন্দোলন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সবাই সম্পৃক্ত হই।”
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সহ-সভাপতি জেবা আমিন খান, নেওয়াজ হালিমা আরলী, নিলোফার চৌধুরী মনি, জ্যেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, কেন্দ্রীয় নেতা রহিমা শরীফ মায়া, আয়শা আখতার দিনা, মমতাজ বেগম, পিয়ারা মোস্তফা, রাজিয়া আলীম, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার বেগম সমাবেশে বক্তব্য দেন।