সোমবার ঢাকার বনানীতে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা।
তিনি বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেভাবে সহিংসতা হচ্ছে তা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। ইউপি নির্বাচনে চর দখলের মতো কেন্দ্র দখলের মহড়া হচ্ছে।”
ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন সহিংসতায় এ পর্যন্ত তিন ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার।
তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা তুলনামুলক কম হওয়ায় ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার এ ভোটকে ‘সহিংসতাহীন নির্বাচনের মডেল’ হিসেবে দাবি করেন।
এই ধাপেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে অন্তত ৯ জনের।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “হামলা-পাল্টা হামলা আর খুনোখুনিতে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে গ্রামাঞ্চলে। দেশের মানুষ খুনোখুনির নির্বাচন চায় না। কোথাও কোথাও নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সামনে অস্ত্রের মহড়া দেখে সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে।”
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার (বিপিইউএম) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সামনের নির্বাচনগুলো অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর করে তুলতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: