হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে রোববার ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘সরকার বলছে কী? আমরা বিআরটিসির ভাড়া তো কমালাম, কিন্তু প্রাইভেট বাসের ভাড়া তো কমাতে পারবো না।
তোমরা প্রাইভেট টেলিফোন, মোবাইল কন্ট্রোল করতে পার, তোমরা প্রাইভেট সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পার। আর তোমরা বাসের ভাড়া ছেলে-মেয়েদের জন্য কমিয়ে দিয়ে সেখানে যদি দুই হাজার-আড়াই হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, তা তোমরা দেবে না কেন?”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
ফখরুল বলেন, “আজকে আমি এই সমাবেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং দাবি করছি যে, অনতিবিলম্বে তাদের ভাড়া কমিয়ে হাফ পাস ভাড়ার ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে।”
শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কারণ তাদের এই লেখা-পড়ার খরচ অনেক বেশি। তাদের মা-বাবারা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ, তারা হিমশিম খাচ্ছে। একদিকে চাল-ডাল-তেল-লবণের দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বইপত্রের দাম বেড়েছে, খাতার দাম বেড়েছে, কলমের দাম বেড়ে্ছে। সেই সঙ্গে বাসভাড়া আরও বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে একটা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামানের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, বিথিকা বিনতে হোসাইন, আনু মো. শাহিন, জামিল হাসান, এমদাদুল হক, ইয়াসীন আলী, এসএম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন বক্তব্য রাখেন।