জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে তারকাখচিত জুরি প্যানেল

দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, পঞ্চমবারের মত তাদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দিতে তারকাখচিত একটি জুরি প্যানেল গঠন করেছে ইয়াং বাংলা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2021, 04:08 PM
Updated : 28 Nov 2021, 04:35 PM

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং অভিনেত্রী জয়া আহসান ১২ সদস্যের এই প্যানেলে রয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্যানেলে আরো রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, উদ্যোক্তা আছিয়া খালেদা নীলা ও জারা মাহবুব, পরিবেশ সংরক্ষণবাদী শাহরিয়ার সিজার রহমান, চলচ্চিত্রকার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, টেলিভিশনের সংবাদ পাঠক তাসনুভা শিশির, উদ্যোক্তা স্বর্ণলতা রায় এবং সাংবাদিক পরিমল পালমা।

দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, তৃতীয় লিঙ্গ, দলিত ও অনগ্রসর সমাজকে নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনসহ ৩০টি সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিতে অক্টোবরেই নিবন্ধন শেষ হয়েছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ গঠনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে এবারই প্রথম দেওয়া হবে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার।

২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে দুই বছর পর দেওয়া এই পুরস্কারটি এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে এক বছর পর দেওয়া হচ্ছে।

ইয়াং বাংলা থেকে জানানো হয়েছে, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রতিবছরের মত এবারও বিপুল সাড়া পড়েছে। সারা দেশের ৭০০ মত প্রতিষ্ঠান অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে।

দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনগুলোকে তুলে আনার জন্যই ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ইয়াং বাংলা। প্রায় ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সাথে নিয়ে চলা এ সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিজ নিজ এলাকায় সফল হওয়া যুবক ও যুব সংগঠনগুলোকে পুরস্কৃত করে আসছে ইয়াং বাংলা।

২০১৮ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সাদাত রহমান গত বছর পেয়েছিলেন ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’। ‘সাইবার বুলিং’ থেকে শিশুদের রক্ষায় কাজ করে তিনি এ পুরস্কার পান।