শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
নজরুল বলেন, “দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলবেন। আর জনগণ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে-এটা কখনোই হবে না, বাংলাদেশে হবে না।
“বাংলাদেশের মানুষ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যেমন মানে নাই, তেমনি আপনাদের (সরকার) ষড়যন্ত্রও মানবে না। গণঅভ্যুত্থান হবে। লড়াই হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়া সরকারি আদেশে মুক্ত থাকার মধ্যে অসুস্থ হয়ে গত ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে চায় বিএনপি। কিন্তু সরকার তাতে এখনও সায় দেয়নি। আইনমন্ত্রী বিএনপিকে বলছেন, বিদেশ থেকে চিকিৎসক নিয়ে আসতে।
নজরুল বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে হাসপাতাল সেখানকার চিকিৎসকরা বলছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এমন কিছু জটিলতা আছে যেটার সুচিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়।
“আমাদের দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, এরকম অবস্থায় তাকে ভাল ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের কোনো বাধা নেই।”
কিন্তু তারপরও সরকার কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেবে না সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “কেন দেবেন না তারা? আইন যেখানে বাধা না, প্রয়োজন যেখানে মানবিক, সেখানে বাধার অর্থ কী?
“রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয় এবং এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য তারা ব্যবহার করছে রাষ্ট্র যন্ত্রকে, রাষ্ট্র শক্তিকে।”
জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে দাবি করে তিনি বলেন, “সেই কারণেই আমরা চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুধাবন করুন, তাদের ক্ষোভ ও কষ্ট আপনারা হৃদয় দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন।
“আপনাদের জন্য তাতে কল্যাণ, দেশের জন্য তাতে কল্যাণ। আর সেটা না করলে যেটা হবে সেটা দেখে গেছেন আইয়ুব খান, সেটা দেখে গেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সেটা দেখেছে আরও বহু বহু শাসকরা।”
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) উদ্যোগে মানবন্ধনে নজরুল ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীম, হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মুজিবুর রহমান, বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী।