জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘দুই-একদিনে’: তাজুল

গাজীপুরের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় তার মেয়র পদ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2021, 07:53 AM
Updated : 22 Nov 2021, 07:53 AM

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর।

বঙ্গবন্ধু ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ শুক্রবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হওয়ায় এখন তার মেয়র পদ থাকবে কি না, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কোনো মন্তব্য না করে বল ঠেলে দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দিকে।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম শনিবার বলেছিলেন, তার মন্ত্রণালয় আইন পর্যালোচনা করে দেখবে। তারপর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সোমবার একই ধরনের প্রশ্নে একই ধরনের উত্তর দিয়ে তিনি বলেন, “আইনটা দেখা হচ্ছে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট আছে, তারা পর্যালোচনা করছে।”

আইনি পর্যালোচনা শেষে পদক্ষেপ নিতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, “দুই-একদিন লাগতে পারে।“

সেক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পর্যালোচনা হোক, তারপরে বলব। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করবে। আইনগতভাবে তার অবস্থানটা কী হবে এখন, সেটা পর্যালোচনা করছি।”

দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হওয়ায় জাহাঙ্গীর আর পদে থাকতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “আইনে যে সমস্ত বিষয় আছে, তা পর্যালোচনা করার পর বলা যাবে।”

নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে মেয়রদের কেউ আদালতে দণ্ডিত হলে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে তাকে অপসারণের বিধান রয়েছে। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আইনে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

তাছাড়া দলীয় প্রতীকে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরুর পর গত পাঁচ বছরে কোনো মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা এটাই প্রথম। ফলে সরকারের কর্মকর্তারা বার বার আইন পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলছেন। 

সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক অবশ্য মনে করেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দল থেকে বহিষ্কার হলে মেয়র পদেও থাকতে পারেন না।

“কারণ, দলে তো উনি আর নেই, তাহলে দল থেকে বহিষ্কার করলে তো আর (মেয়রের) চেয়ার থাকে না। এটা সাধারণ হিসেব।”