এতবড় অমানবিক যে, তাকেও মানবতা দেখিয়েছি: খালেদা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় যা করার ছিল, তা তিনি করেছেন, এখন বাকিটা ‘আইনের ব্যাপার’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2021, 01:48 PM
Updated : 17 Nov 2021, 05:04 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর এমন জবাব আসে।

তিনি বলেন, “এতবড় অমানবিক যে, তাকে আমি মানবতা দেখিয়েছি। আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার সেটুকু আমি দেখিয়েছি। আর কত চান?”

৭৬ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ১৩ নভেম্বর থেকে তিনি বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি।

তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবারও সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু দণ্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু তাকে এখন বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি যদি কারাগারে ফিরে গিয়ে আবেদন করেন, সরকার তখন তা বিবেচনা করতে পারে। 

এ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোনো পদক্ষেপ তিনি নেবেন কি না।

উত্তর দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কাছে চান কীভাবে বলেন তো? খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিছি, চিকিৎসা করতে দিছি, এটাই কি বেশি না?

“আপনাকে যদি কেউ হত্যা করার চেষ্টা করত, আপনি কি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? বলেন আমাকে? বা আপনার পরিবারকে কেউ যদি হত্যা করত, আর সেই হত্যাকারীর যদি কেউ বিচার না করে, পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিত, তাদের জন্য আপনারা কী করতেন?”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় খালেদা জিয়ার স্বামী সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকেই দায়ী করেন শেখ হাসিনা।

আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সে কথাও তিনি বলেন।    

পরে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়াও যে একই পথে হেঁটেছেন, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার সেটুকু আমি দেখিয়েছি। আর কত চান? আমাকে বলেন। এখন সে(খালেদা জিয়া) অসুস্থ। ওই যে বললাম না, রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে? সেটি মনে করে বসে থাকেন। এখানে আমার কিছু করার নাই। আমার যেটা করার ছিলো করেছি। এটা আইনের মাধ্যমে।”

ছবি: পিআইডি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিষয়ে খালেদা জিয়া সরকারের কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি থাকতে হত্যাকারীকে ১৫ ফেব্রুয়ারির ৯৬ সালের ইলেকশনে ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে বসানো… যেখানে আমি বিরোধী দলের নেতা ছিলাম, সেখানে বসানো হলো কর্নেল রশিদকে (খন্দকার আবদুর রশিদ)। কে করেছিল? খালেদা জিয়া।”

“খায়রুজ্জামান আসামি। তার মামলার রায় হবে। চাকরি নাই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই আসামিকে চাকরি দিলো ফরেন মিনিস্ট্রিতে। রাষ্ট্রদূত করে পাঠালো। বাশার একজন খুনি, মারা গেছে। মৃত ব্যক্তিকে প্রমোশন দিয়ে… সে সেনাবাহিনীর অফিসার ছিল। তার সমস্ত অবসর ভাতা সব দিয়ে দিল।”

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার ওপর গ্রেনেড হামলা করার পর বলে দিল কী? আমি ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে নিজেই নিজে আত্মহত্যা করতে নিজেকে মেরেছিলাম।

“কোটালিপাড়ার হামলার আগে তার (খালেদা জিয়া) বক্তৃতা কী ছিল? ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা কোনোদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবেন না’। সেই কথাও বলেছিল। বলেছিল- মরেই তো যাব।”

বার বার হত্যা চেষ্টার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “রাখে আল্লাহ মারে কে? আর মারে আল্লাহ রাখে কে? দেখেন আমার বেলা সেটা হচ্ছে যে, রাখে আল্লাহ মারে কে?

“তারপরও বলব, খালেদা জিয়ার জন্য দয়া দেখাতে আমাকে কেউ এই প্রশ্ন করলে আপনাদের একটু লজ্জা হওয়া উচিত। যারা আমার বাবা-মা-ভাই, আমার ছোট রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করিয়েছে।

“তারপরেও আমরা অমানুষ নেই। অমানুষ না দেখেই তাকে আমরা অন্তত বাসায় থাকার অবস্থাটুকু আমার এক্সিকিউটিভ অথরিটি আমার হাতে যতটুকু আছে, আমি সেটুকু দিয়ে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থাটুকু করে দিয়েছি। বাকিটা আইনগত ব্যাপার।”

সাবেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কথা সময়ের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে করে দেশটাকে তারা একেবারে ধবংসের দিকে নিয়ে গেছে। ওই গ্রেনেড হামলার পরে আমরা এতজন আহত, ২২ জন মানুষ মারা গেছে। একদিন পার্লামেন্টে আলোচনা পর্যন্ত করতে দেয়নি। আমরা এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনাও করতে পারিনি।

“এখন সে (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। ওই যে বললাম না, রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে? সেটি মনে করে বসে থাকেন। এখানে আমার কিছু করার নাই। আমার যেটা করার ছিল করেছি। এটা এখন আইনের ব্যাপার।”

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার এ সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

 

সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ যেসব ঘটনা ঘটেছিল, সেসব বিষয়ে এখন তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, এতবছর পরে হলেও মানুষ কথা বলতে শুরু করেছে, বিষয়গুলো এখন সামনে আসছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসা জিয়া সেনাপ্রধান হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা দখল করেন। তার পরের বছর তিনি রাষ্ট্রপতির পদও নেন।

জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা সাজা দেওয়া হয়।

১৯৭৬ সালে এই রকম এক বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কর্নেল আবু তাহেরের বিচার অবৈধ বলে রায় এসেছে উচ্চ আদালত থেকে।

জিয়ার আমলের ওইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে স্বজনহারাদের পরিবার।

সে বিষয়টি তুলে ধরে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কমিশন গঠনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না।

উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “পাঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে ১৯টা ক্যু হয়। আর প্রতিটা ক্যুর পর সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সৈনিক, অফিসার এবং বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

“এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, সরাসরি নিজে।… নিজে সরাসরি মৃত্যুদণ্ড দিত, প্রহসনমূলক বিচার। এটা শুধু ফাঁসি দেওয়া না, বলতে গেলে সামরিক আদালতে বিচার, সেখানে কোর্ট মার্শাল, এবং কোর্ট মার্শালের ফলে তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা…।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় ঠিক কত মানুষ নিহত হয়েছিল, কত পরিবার আপজনের লাশ পায়নি, এ বিষয়গুলো কেউ ‘সেভাবে তুলে ধরেনি’।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যে চার কর্মী হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নিজের ফুপাতো ভাই ফিরোজ কুমার চৌধুরীও যে ছিলেন, সে কথা অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাই, অন্তত আপনাদের কিছুটা হলেও এই ব্যাপারে চেতনা ফিরেছে এবং আপনারা কথাটা তুলেছেন। আমি আশা  করি, এই ব্যাপারে আরো তথ্য সংগ্রহ হবে এবং কীভাবে নির্বিচারে এদেশের মানুষকে জিয়াউর রহমান হত্যা করে গেছে সেটা আপনারা বের করবেন।”

সে সময় জেলখানায় যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তাদের তথ্য পাওয়া গেলেও ফায়ারিং স্কোয়াডে কিংবা কোর্ট মার্শাল করে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের তথ্য পাওয়া কঠিন হবে জানিয়ে এ বিষেয়ে সাংবাদিকদেরও উদ্যোগী হতে বলেন সরকারপ্রধান।

আর সরকারও এ বিষয়ে কাজ করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এটা খবর নেব… এই ব্যাপারে আমরা দেখব।”

‘তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে?’

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই যে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করতে পেরেছিলেন, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেই আদর্শ নিয়ে চলে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তাহলে ৭৫ সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বা ২০০৯ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেন পারেনি এই দেশকে উন্নত করতে?

“পারেনি একটি কারণে যে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন কখনো চায়নি, বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি, বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক চায়নি। বাংলাদেশটাকে আবার তারা ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি এবং জামায়াত মিলিটারি ডিক্টেটররা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে তারপরে তারা ক্ষমতায় গিয়ে, ক্ষমতায় বসে এই দলগুলো সৃষ্টি করেছে। কাজেই এরা হলো ক্ষমতার ছত্রছায়ায় তৈরি করা দল। ক্ষমতার বাইরে এদের টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।”

ছবি: পিআইডি

এখন এরা ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এরা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে? জিয়াউর রহমান কী নির্বাচন করেছিল ৭৭ সালে? তার হ্যাঁ-না ভোট। ৭৮ সালে তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ৭৯ সালে তার যে সংসদ নির্বাচন, সেটা কি কোনো নির্বাচন ছিল? বা ৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথাই স্মরণ করেন। আজকে মানুষ হত্যার কথা বলছেন। সেই ৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কতজন হত্যা হয়েছিল, আর কত মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছিল?”

বিএনপির ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “নির্বাচন করবে কীভাবে। নির্বাচন করতে হলে যে সাংগঠনিক শক্তি দরকার হয়, বা জনসমর্থন দরকার হয়, সেটা যখন নাই, তখন তারা ওই ‘আমরা করব না, মানি না’ করে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করে।”

‘সামরিক শাসকেরা যা করেনি, আমি তার থেকে বেশি করেছি’

প্রধানমন্ত্রীর প্যারিস সফরে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার যে সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেখুন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তি চাই। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে যুদ্ধ না। তারপরও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের পুলিশ- তারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে। সেই ক্ষেত্রে আমার সব সময় চেষ্টা ছিল যে আমাদের যারা শান্তিরক্ষা মিশনে যায়, তারা যেন তাদের প্রশিক্ষণে, জ্ঞানে কোনো দিকে যেন পিছিয়ে না থাকে।”

আগের সরকারগুলোর সময়ে দেশের সামরিক বাহিনীর অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি দেখেছেন, অনেক সামরিক শাসকেরা ক্ষমতায় ছিল। তারা যা করেনি, আমি কিন্তু তার থেকে বেশি করেছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। পুলিশের জন্য, বর্ডার গার্ডের জন্য, সকলের জন্য এবং সেইক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা- এটা আমি করি। আমাদের স্বাধীন দেশের জন্য এটা একান্ত প্রয়োজন।”