ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে তার একান্ত সচিব ইকবাল বিন মতিন জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর চারবার সংসদে টাঙ্গাইল-৭ আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ গত ১৯ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
একান্ত সচিব ইকবাল জানান, একাব্বর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। এর মধ্যেই তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে শরীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে প্রয়াত এই সাংসদের জানাজা হবে। বুধবার দুপুরে মির্জাপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আরেক দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন একাব্বর হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন ১৯৭৮ সালে।
ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত একাব্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার আইনপ্রণেতা হিসেবে সংসদে আসেন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও এমপি নির্বাচিত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও এ সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।