৭ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে রোববার ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের সমালোচনা করে মুরাদ বলেন, “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো কথা বলব, আমরা বিড়ালের মতো্ কথা বলার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি। আমি ডা. মুরাদকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না।”
মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিচারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
“জিয়ার নামে কোনো ফলক থাকবে না,” বলেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুরাদ বলেন, “আমরা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আপস করি না। লড়াই করতে চাও, আসো। কোথায় করবা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর না ময়মনসিংহে। ১৪ হাত মাটির নিচে চলে যাবা।
“জিয়া পরিবার বাংলাদেশেকে ধ্বংস করছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর মূল হত্যাকারী। তারেক রহমান আস, লন্ডনে গেছ কেন?”
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন, কোনোদিন বেঈমানি করেননি। আমরা বেঈমান না।”
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের হুঁশিয়ার করে মুরাদ বলেন, “যারা ব্যবসা খুলে বসছেন, ভাল হয়ে যান। দুঃসময়ের নেতাদের আমরা চিনি। নতুন নতুন হাইব্রিড নেতারা দলের ক্ষতি করবে, ঘুষ খাবে, দুর্নীতি করবে, এই বাংলাদেশে এটা করতে দেওয়া হবে না।”
সভায় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “জিয়াউর রহমান মরে গেছে বলে কি আমরা তাকে ছেড়ে দেব? আমরা তো তাকে ছেড়ে দিতে পারি না। তার অবশ্যই বিচার করতে হবে।
“তিনটি তদন্ত কমিশন করতে হবে। একটি হল বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া গংদের কী ভূমিকা ছিল সেটা বের করতে, জেলহত্যায় জিয়া গংদের কী ভূমিকা ছিল, তার জন্য একটি আর একটি হলো- জিয়া যে ২ হাজারের অধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বিচারের প্রহসনের নামে, সে জন্য।”
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সভায় বক্তব্য রাখেন।