বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নির্বাচন প্রকাশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে হবে। এক্ষেত্রে সব পক্ষ ও সব রাজনৈতিক দলের পরিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারা এবং সবার প্রতিটি ভোট গণনা হওয়ার আস্থা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”
জাতীয় নির্বাচনের দুই বছরের বেশি সময় বাকি থাকার মধ্যে মেয়াদ শেষের পথে থাকা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্দলীয় সরকার গঠন করতে বিএনপির দাবি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
‘নিরপেক্ষ সরকারের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের’ পরিচালনায় ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগের মতোই নির্বাচন হবে।
এর মধ্যে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক চর্চায় সহায়তা দিয়ে যাবে। এবং বাইরের বন্ধুদের নিয়ে সহায়তা দিয়ে যাব, যাতে আগামী সাধারণ নির্বাচনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সব ভোটার ও অংশগ্রহণকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
”এ কাজে নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি কীভাবে এগোয়, তাও আমরা অবশ্যই আগ্রহ নিয়ে খেয়াল রাখব।”
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে কোনো সহযোগিতা দিতে পারি কি না, সে বিষয়ে আমাদের বন্ধু ও সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব।
”এটা বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সংবিধানের আলোকে প্রতিফলিত হবে। কী করা দরকার সেটা সংবিধানে স্পষ্ট এবং বেশিরভাগ মানুষ যাতে নিশ্চিত হয়, তাদের সাংবিধানিক আকাংখ্যা পূর্ণ হয়েছে।”
ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দীন বক্তব্য দেন।