মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাকরাইলের দিকে এগোলে নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিএনপিকর্মীরা রাস্তার দুই পাশের গলিতে ঢুকে পড়ে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ও লাটিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিএনপি কর্মীদের মিছিল করার কথা ছিল না। সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিবও সে কথা বলেছিলেন।
একজন সাংবাদিক এসময় বলেন, বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার অভিযোগ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
উত্তরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।” এ ঘটনায় ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কাছেই দেখা যায় পুলিশের সাঁজোয়া যান।
পুলিশের উপস্থিতির মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ‘এক হও লড়াই করো’ ‘জিয়ার সৈনিক হও, এক হও’ ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বেলা ১১টায় বিএনপি অফিসের সামনে ছোট একটি ট্রাকে শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দল, মহিলা দলের নেতারা সেখানে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর মিছিল শুরু হতেই নাইটিঙ্গেল মোড়ে সংঘর্ষ বাঁধে।