খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সার্জিক্যাল আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2021, 04:36 AM
Updated : 26 Oct 2021, 04:36 AM

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “উনাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকালে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে। ম্যাডাম ভালো আছেন, ভালো বোধ করছেন।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শরীরে ছোট আকারের একটি ‘লাম্প’ তৈরি হওয়ায় সোমবার ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে তার বায়োপসি করা হয়।

পরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে বলেন, তাদের চেয়ারপারসন ‘বিপদমুক্ত’।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, বায়োপসির প্রতিবেদন আসতে ৭২ ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে, ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সেটা নির্ধারিত হবে।

“উনার শরীরের এক জায়গায় ছোট একটা লাম্প আছে। যেহেতু পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে।”

‘লাম্পের’ ব্যাখ্যায় অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “লাম্প শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট চাকা। ইট ইজ নিয়ারলি ১.২ সেন্টিমিটার ইন সাইজ।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের দেহের কোথায় এটা হয়েছে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি ‘রোগীর প্রাইভেসি’র বিষয়টি উল্লেখ করে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তখনও তাকে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়।