বন্ধু রাষ্ট্রকেও ‘কাজে লাগাতে পারেনি’ বাংলাদেশ: জিএম কাদের

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক মহল কিংবা ‘বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকেও’ বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি বলে  মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2021, 12:08 PM
Updated : 25 Oct 2021, 12:08 PM

সোমবার রাজধানীর বনানীতে এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক হলেও, আন্তর্জাতিক মহলকে আমরা সেভাবে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজে লাগাতে পারিনি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কট ঝুলে থাকার পেছনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের ভূমিকাকে দায়ী করার একদিন পর জিএম কাদেরের এমন মন্তব্য এল।

তিনি বলেন, “চার বছরেও সাফল্য নেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে, এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছি আমরা। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে না পারাও ব্যর্থতা।”

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন রোববার বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে। তবে, জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য, তারা হলো ‘মাতব্বর’।

২০১৭ সালের অগাস্টে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

এখন বিপুল সংখ্যক এই শরণার্থীকে ‘বোঝা’ হিসেবে দেখছে সরকার। তাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়য়ে জিএম কাদের বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শৃংখলা রক্ষা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।

“সেখানে খুন-খারাবি নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। তাই দ্রুততার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে।” 

পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সোলায়মান আলম শেঠ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন