দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ‘সিন্ডিকেট’: মোশাররফ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’কে দায়ী করে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তারা মদদ পাচ্ছে সরকারের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2021, 01:37 PM
Updated : 24 Oct 2021, 01:37 PM

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আকাশ ছোঁয়া দাম। সরকার এর লাগাম টেনে না ধরে বরং দাম বাড়ানোর পেছনে যে আওয়ামী সিন্ডিকেট আছে, তাদেরকে তারা উৎসাহিত করছে।

“দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে যে সকল সিন্ডিকেট আছে, তারা সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী। তাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য, সুবিধা দেয়ার জন্যে দ্রব্যমূল্য রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগে যেখানে শতকরা ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল, এই করোনার কারণে আরও ২০ ভাগ মানুষ এই দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে। মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে।

“দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এদেশের মানুষ দুই বেলা ভাত পেট ভরে খেতে পারে না। বহু মানুষ অনাহারে থাকে। তাদের ক্ষমতা নেই, আয় রোজগার কমে গেছে।”

‘নানা ষড়যন্ত্র করছে সরকার’

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “যখন দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছে এই শেখ হাসিনার সরকারকে আগামীতে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার করবে। তখনই সরকার নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে।

“একটি ষড়যন্ত্র আপনারা দেখেছেন এই দুর্গাপূজায় পবিত্র কোরআন শরিফকে পূজামণ্ডপে রেখে, সেই কোরআন শরিফকে একজন থানার ওসি মিডিয়ার সামনে দেখাচ্ছে এবং ফেইসবুকে এটাকে ভাইরাল করেছে।”

তিনি বলেন, “আগামী দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম সামনে রয়েছে, সেই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য সরকার নানা ফন্দি করছে, নানা ষড়যন্ত্র করছে। তার মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা তাদের একটি পরিকল্পনা।”

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকারকে বিদায় দিতে না পারলে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে না, এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তাই একটা ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে এই সরকারকে বিদায় করতে আমরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তত হব।”

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বক্তব্য রাখেন।

এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল, আবদুস সালাম আজাদ, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, এজিএম শামসুল হক, এবিএম রাজ্জাক, আরিফা সুলতানা রুমা উপস্থিত ছিলেন।