বুধবার ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ও শান্তি মহাসমাবেশ তিনি এ আহ্বান জানান।
এতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে এবং শাহসূফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ বক্তৃতা দেন। সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া ও ঐক্য সংহতির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ।
সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "এই জনপদে, এই উপমহাদেশে কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি। ওলী-আম্বিয়ারা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে, বুঝিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনেছেন।
“তাই যারা ইসলামের কথা বলে ওলী-আম্বিয়াদের বিরোধিতা করে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে, তারা ফেৎনা বা বিভেদ সৃষ্টিকারী। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে।“
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "এদেশ যেমন মুসলিমদের, তেমনই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের, আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।"
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, "ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের এই দেশে ঠাঁই হবে না। সরকার এদের কঠোর হস্তে দমন করবে।"
এদিন বিকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় তিথিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, "মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও জনহিতের বাণী আমাদের শান্তি ও সম্প্রীতির দিশারী।
"বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, এদেশ আমাদের সবার। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
“বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হিসেবে অম্লান রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।"
বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাথেরোর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফজালুর রহমান বাবু, বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।