সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “বাহাত্তরের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
“অবৈধ সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধান ধ্বংস করে দিয়েছিল। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে অবৈধ সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করা উচিত।”
তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। পূর্বের হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হলে এধরনের ঘটনা আমাদেরকে দেখতে হত না।
“নাসিরনগরের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ হয়নি, বিচার হয়নি। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে চাইলে অবশ্যই প্রতিটি সাম্প্রদায়িক হামলার দ্রুত বিচার করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ভাস্কর রাশা বলেন, “সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দোসর বিএনপি-জামাতের ক্যাডাররা।
“ধর্মকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্যে। এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনও সভায় বক্তব্য রাখেন।