সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের নিন্দায় শান্তি পরিষদ

দুর্গাপূজার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2021, 04:48 PM
Updated : 19 Oct 2021, 04:48 PM

হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টূ ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান।

একইসাথে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপত্তা দিতেও তারা দাবি জানান।

হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য যাদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চেয়েছে শান্তি পরিষদ।

পরিষদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী সোহেলের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, “শান্তি পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, ধর্মীয় উগ্রবাদী এবং কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের সন্ত্রাস ও চক্রান্তের কারণে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এবছর তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে পারলেন না। এই ঘটনা প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সর্বোপরি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে নতুন করে বিরাট নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দিয়েছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “এবছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের তাণ্ডব এবং নানা ঘটনায় এর আগেও দেখা গেছে,,নানা সময়ে ধর্মকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে।

“ফলে এ হামলা শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরই আঘাত নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর বিরাট আঘাত। তাই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে এধরনের  অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি  নিশ্চিত করা এবং দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির পক্ষের সকল অসম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তি, ব্যক্তি ও প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষদের সমন্বিত উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য শান্তি পরিষদ আহবান জানাচ্ছে।”