সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, “কুমিল্লাসহ সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কাছে গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে একটি কমিটি। এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
“আরেক কমিটি হচ্ছে তদন্ত বিষয়ক। বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং করতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।“
তিনি জানান, কমিটি দুটো অতিদ্রুত উপদ্রুত এলাকাগুলো সফর করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটি দুটি দুই-একদিনের মধ্যে তাদের কাজ শুরু করবে।
গত রোববার জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময়ে কুমিল্লায় কোরআন শরীফের অবমাননা এবং পরে দুষ্কৃতিকারীদের পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাংচুর ক্ষমতাসীন দলের মদদে হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কুমিল্লার ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর, নোয়াখালীর চৌহমুনী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় স্থায়ী কমিটি মনে করে, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবহিত করতে সরকার নিজেরাই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংকট সৃষ্টি করছে।
স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে।
একই সঙ্গে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে সব নাগরিককে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।