তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে প্রথমে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির পূজামণ্ডপে যান।
সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এরপর সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান বিএনপি মহাসচিব। সেখানে খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান। রাতে তিনি বনানী পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা হাজার বছর ধরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বাস করি। আমরা আজকে এখানে আপনাদেরকে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। আমরা সবসময় আপনাদের সাথে আছি এবং থাকব।”
কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, “কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এইসব যারা ঘটিয়ে্ছে, তারা চায় এদেশের অশান্তি সৃষ্টি করতে, যারা চায় যে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে। সেই দুবৃর্ত্তরা এটা ঘটিয়েছে।
“আমরা এই সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একইসঙ্গে দাবি করছি, অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধী যারা তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছাড়াও এসময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের গৌতম চক্রবর্তী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী।