বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ই-কর্মাসে যারা লুণ্ঠন করছে তারা কারা? কাদের প্রশ্রয়ে এই লুন্ঠন করছে, কারা তাদেরকে এই প্রটেকশনটা দিচ্ছে?
“সমস্ত এই আওয়ামী লীগের ক্ষসতাসীন পার্টি তারাই এর সঙ্গে জড়িত। এই সমস্ত মানুষেরা যারা ক্ষমতার পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে তাদেরকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে, তারা তো সরকারের প্রশ্রয়ে, রুলিং ক্লাসের প্রশ্রয়ে আছে।”
ব্যাংক ব্যবস্থাও ‘ফোকলা’ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
“প্রত্যেকটা ব্যাংকের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া কেউ ঋণ পায় না। ব্যাংকের পরিচালক কারা? ওই আওয়ামী লীগের লোকেরাই হচ্ছেন পরিচালক।”
ফখরুল বলেন, “যারা এখানে বিত্তশালী, যারা এথানে একটার পর একটা ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে এবং বিদেশে, কানাডার বেগমপাড়ায় গিয়ে বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়াতে গিয়ে সেকেন্ড হাউজ তৈরি করে।”
‘আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “উনি কালকে আমার নাম ধরে বলেছেন যে আমরা না কি রঙিন খোয়াব দেখছি।
“আর আপনারা কী দেখছেন? আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। এই বিএনপি আসল, এই আমাদের ক্ষমতা গেল-এই দুঃস্বপ্ন আপনারা দেখছেন।”
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “এখন সংগঠিত হন, ঐক্যবদ্ধ হন, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করবেন না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ধাক্কা দিতে হবে আমাদেরকে।”
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে দুদকের মামলার সাজার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।”
সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত নেতাআফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আফসার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও যশোর-৫ আসন থেকে দুই বার সাংসদ ছিলেন। ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক প্রয়াত নেতার স্ত্রী জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য জামিল আহমদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভুঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান বক্তব্য রাখেন।