বিএনপির ঘরে এখন ‘বিচ্ছেদের সুর’: কাদের

বিএনপি নেতারা ‘দল ছেড়ে যাচ্ছেন’ এবং জোটেও ‘বিভক্তি দেখা দিয়েছে’ দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলটিতে এখন ‘বিচ্ছেদের সুর’ বাজছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 12:25 PM
Updated : 11 Oct 2021, 12:25 PM

সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ২৯ নম্বর ইউনিট সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নিজের ঘরেই এখন বিচ্ছেদের সানাই বাজছে। একে একে নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির ২০ দলীয় জোটেও ভাঙনের বিষাদ সুর।

“কাজেই বিএনপি নিজেরাই বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন শুনছি সম্মেলন না করে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করবে, ঘরে বসে কমিটি করবে। তাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র কীভাবে করবে? আওয়ামী লীগের মত গণতন্ত্রের চর্চা বিএনপিতে নেই।”

বিএনপির আন্দোলনের আহ্বান নিয়ে রসিকতা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আন্দোলনের ডাক দেন। তারা আমাদের চেয়ে ৬ ঘণ্টা পিছিয়ে আছে।

“কারণ আমাদের নেত্রী ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠে। আর দুপুর ১২টার আগে বিএনপির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিবৃতি আসে গভীর রাতে। অন্ধকারে কাজ করতে এদের ভালো লাগে।”

বিএনপি যতোই সমালোচনা করুক, আওয়ামী লীগ ‘কাজ করে যাবে’ মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আজকে যারা সমালোচনা করছে আমরা তাদের অন্ধ সমালোচনা ও অপপ্রচারের জবাব দেব আমাদের উন্নয়ন অর্জন দিয়ে।

“তোমরা সমালোচনা কর, আমরা কাজ দিয়ে জবাব দেব। আমরা মানুষের সঙ্গে ভাল আচরণ করে উপযুক্ত জবাব দেব। মানুষকে খুশি করে আমরা জবাব দেব।”

আগামী বছর পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিট ট্রানজিটের মত মেগা প্রকল্পগুলো একে একে উদ্বোধন হলে জনগণই বিএনপির ‘সমালোচনার মুখ’ বন্ধ করে দেবে বলে মন্তব‌্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিনি একটি দলের হয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব‌্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে মনে হয় ইসি নয়, তিনি নিজেই জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। আসলে তিনি কঠিন ও জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। বর্তমান ইসির মূল সমস‌্যা মাহবুব তালুকদার নিজেই।”

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস‌্যু, চিহ্নিত মাদকব‌্যবসায়ী- এমন বিতর্কিত ‘অপকর্মকারীদের’ দলে ঠাঁই না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নিজের লোক বাড়ানোর জন‌্য খারাপ লোকদের টেনে আনবেন না।

“এই খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। তাদের দলের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দলের দুঃসময় এলে দলের খাঁটি কর্মীরাই থাকবে। খারাপ লোকেরা-বিতর্কিত ওইসব লোকেরা থাকবে না।

নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “যত ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে আসবে, দল তত শক্তিশালী হবে।

“আমরা আরো আধুনিক, সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, আরো স্মার্ট পার্টি হিসেবে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।”

অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস‌্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি সাদেক খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সলিমউল্লাহ সলু। সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।