দ্রব্যমূল্য: সরকারকে দুষলেন রিজভী

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 07:55 AM
Updated : 11 Oct 2021, 07:55 AM

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “করোনার অভিঘাতে মানুষের আয় রোজগারে যখন টানাপড়েন অবস্থা, তখন হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যের বাজার দর। চাল ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ সব কিছুর দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর কোনো প্রতিকার নেই। কে করবে প্রতিকার?

“বাজার সিন্ডিকেটের দাপট দেখে মনে হয় সরকার ও প্রশাসন এই বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক। এদেশের মানুষ ফৌত হয়ে গেছে। কিন্তু আওয়ামী রাজন্যবর্গ বিত্ত-বিলাসে মত্ত হয়ে আছে।”

রিজভী বলেন, “দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে, ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দয়ামায়া নেই।

“এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগী যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর ব্যবসায়ী পরিচয় তুলে ধরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “তারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। সম্প্রতি… সেমিনারে অধিকাংশ বক্তাই চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে খাদ্যমন্ত্রী ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন রাইস মিলগুলোর ভূমিকাকে দায়ী করেন।

“মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণে মাঝে মাঝেই চালের দাম বাড়ে। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে চালের দাম এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।”

রিজভী বলেন, “সিন্ডিকেট জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আগে যারা ক্রেতা, মানিব্যাগে করে টাকা নিয়ে যেতেন আর চটের ব্যাগ ভর্তি করে বাজার নিয়ে আসতেন। এখন যে পরিস্থিতি, বাজারের যে অবস্থা, চটের ব্যাগে করে টাকা নিয়ে যেতে হবে আর মানিব্যাগে করে সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাসায় আনতে হবে।”

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গ ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেট।”

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘সরকারের পতন ছাড়া মুক্তি নেই’মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আসুন আপনার-আমার, আমাদের সকলের, তথা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আবারো ঐক্যবদ্ধ হই। দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে আমাদের আন্দোলন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।