আইনমন্ত্রী বললেন, সার্চ কমিটি ‘আইনের কাছাকাছি’
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 10 Oct 2021 06:03 PM BdST Updated: 10 Oct 2021 06:17 PM BdST
-
ঢাক রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
-
ঢাক রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন এখনও না হওয়ার মধ্যে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যেভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন, সে পদ্ধতিটিও ‘আইনের কাছাকাছি’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় ঘনিয়ে আসায় তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনপ্রণয়নের কথা উল্লেখ করা হলেও সেই আইনটি এখনও হয়নি।
এই অবস্থায় জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১২ সালে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির সুপারিশের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন তিনি। একই পদ্ধতি বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদও চালু রেখেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “হয়ত বা সার্চ কমিটি গেজেটেড, এটা আইন নয়, যেহেতু সকলের কনসেনসাসের ভিত্তিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন, এটা আইনের কাছাকাছি। কারণ, এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে।”
আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে পাঁচ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে; তাদের পর যে কমিশন গঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার থাকবে তাদের ওপরই।
নতুন ইসি গঠন নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।
আইন না করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা জনগণের সঙ্গে ‘ধোঁকাবাজি’।
বিএনপির সমালোচনার জবাবে আনিসুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন করেছে, করে যাবে, তাদের (বিএনপি) সেটা নিয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নাই।
“মহামান্য রাষ্ট্রপতি নাম চান সকল দলের কাছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাব থেকেও কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারি যে কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে, সেখানে একজন আছেন। সেক্ষেত্রে আমি বলছি, তারা আমার কথায় আশ্বস্ত হবেন কি-না জানি না, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।”
নির্বাচন কমিশন আইন ও সার্চ কমিটি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে রোববার আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইনটি করা প্রয়োজন, তবে বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে এত দ্রুত সম্ভবপর নয়।
“কোভিড সিচুয়েশন ইমপ্রুভ করলে আমরা পুরো সংসদে আমরা সাড়ে তিনশ সদস্য বসতে পারব, বসে এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করতে পারব। সেই জিনিসটা কিন্তু আমাদের হচ্ছে না। সে কারণে আমি বলেছি, ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। এই বার সার্চ কমিটি করবে।”
ইসি গঠন এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে: তথ্যমন্ত্রী
ইসি নিয়োগে সার্চ কমিটি ‘ধোঁকাবাজি’: ফখরুল
ইসি নিয়োগে আইন এবার সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী

ঢাক রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন প্রসঙ্গে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের উন্মোচন করতে তদন্ত কমিশন গঠনের কাজ ‘শুরু হয়ে গেছে’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের এই প্রধান কৌঁসুলি বলেন, তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারী দেখা দেয়। এই সময়ে কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থেকে কোভিড মোকাবেলা না করলে ’সেটা বোধহয় বিবেচকের কাজ হতো না’।
“আমরা ইতোমধ্যে কাজ করা শুরু করেছি। এটার অবকাঠামো কী হবে, এটা কোন আইনের আওতায় থাকবে বা নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন হবে কি-না, এটা পরিধি কেমন হবে- এগুলোর খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।”
তদন্তের আওতার বিষয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন যেটা প্রয়োজন, যারা এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিলেন, তারা অনেক অপরাধের সাথে জড়িত। শুধু হত্যার অপরাধের সাথে তারা জড়িত না। তারা হচ্ছে এই ঘটনার পরে বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তন বা বিকৃত করার অপরাধ করেছেন।
”তারা এই অপরাধটার যাতে বিচার না হয়, সেই আইন করার অপরাধ তারা করেছে। এজন্য অবশ্যই নতুন প্রজন্ম এবং এখনকার প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে জানানো প্রয়োজন।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “যেটা প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া, এই কমিশন কিন্তু কোনো প্রতিহিংসামূলক নয়। এই কমিশন হচ্ছে যে, বিকৃত ইতিহাসকে ফেলে দিয়ে সত্য যে ইতিহাস সেটাকে সঠিক পথে চালিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটা সম্পর্কে জ্ঞাত করা।
“এটার পরিধিগত ব্যাপার আছে, গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিদের নিয়ে এটা করা উচিৎ। সেসব কারণে এটার অবকাঠামোগত আলাপ-আলোচনা সেটার কাজ চলছে।”
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে ‘অপব্যবহার’ না হয়, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কোনো সাংবাদিককে যাতে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হয়রানি করতে চাইলে তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ সেলের সুপারিশ নেওয়ার পদক্ষেপটি জোরদার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন আইনমন্ত্রী।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলার রায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিচারাধীন বিষয় বলে এড়িয়ে যান আইনমন্ত্রী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
-
সংসদে রওশনের খোঁজ নিলেন শেখ হাসিনা
-
হারুনকে সংসদে ‘বাধা দেবেন’ রাঙ্গাঁ
-
সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিলেন রওশন
-
এখন আর রাতে সিল মারতে হবে না: বিএনপির টুকু
-
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মলের মৃত্যু
-
ইভিএম: কুমিল্লা নিয়ে বাহবা, হাতিয়া নিয়ে ক্ষোভ
-
নির্মল গুহের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
-
অর্থমন্ত্রী টাকা পাচারকে ‘ভালো কাজের স্বীকৃতি’ দিচ্ছেন: জিএম কাদের
সর্বাধিক পঠিত
- হুডার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, জুটির বিশ্ব রেকর্ড
- বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দলে পরিবর্তনের ছড়াছড়ি
- পিটিয়ে শিক্ষক খুন: আশুলিয়ার সেই ছাত্রের বাবা গ্রেপ্তার
- পদ্মা সেতু: যশোর তাকিয়ে কালনা সেতুর দিকে
- রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পারল না আয়ারল্যান্ড
- ৬ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফিরলেন রুশো
- স্বামীর মরদেহ দেখে স্ত্রীর মৃত্যু, এরপর অসুস্থ ছেলে হাসপাতালে
- চিকিৎসক অদিতি সরকারকে বাঁচানো গেল না
- ‘ধর্মানুভূতিতে আঘাত’: ভয়ের সংস্কৃতি প্রভাব ফেলছে শ্রেণিকক্ষে
- ‘বাবার লাশ ঝুলছিল, মায়ের লাশ বিছানায়’