সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম বলেছেন, বৃহস্পতিবার স্টকহোম পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
তার এই অভিযোগ স্টকহোম পুলিশের কাছে কতটা গুরুত্ব পাবে, অথবা এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী- তা জানা যায়নি।
তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাসনিম খলিল ওই উদ্যোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়েয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাসনিম খলিল বাংলাদেশবিরোধী যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে সে বিষয়ে আমরা স্টকহোম পুলিশকে অবহিত করেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
তার ভাষায়, বিএনপিসহ বিভিন্ন ‘মৌলবাদী’ দলের কার্যক্রমের সঙ্গে খলিলের তৎপরতার ‘মিল’ রয়েছে।
তাসনিম খলিলের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা তিনি বলেন, “বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপ ‘যখন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে’ তখন নেত্রনিউজ প্রচার করে, সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্য দেশে ৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে যাচ্ছে। যখন ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছিল, তখন এমন সংবাদ প্রকাশ কোনোভাবেই ‘মুক্ত গণমাধ্যমের চর্চা’ হতে পারে না।”
তার ভাষায়, নেত্র নিউজের আচরণ ‘সরকারবিরোধী কর্মীদের’ মত।
নজরুল বলেন, “তারা অনুমাননির্ভর আরেকটি সংবাদ প্রচার করে, যেখানে বলা হয়েছিল, ভারতের করোনার টিকা বাংলাদেশে কখনও পৌঁছাবে না। কিন্তু তাদের এই অনুমাননির্ভর সংবাদটিও সঠিক হয়নি। বাংলাদেশ সবার আগে ভারতের তৈরি করোনার টিকা পেয়েছে, সেটিও উপহার হিসেবে।"
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাসনিম খলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগটি নতুন নয়। আমার সাংবাদিকতার বিষয়ে কিছু দিন আগেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসে অভিযোগ করা হয়েছিল। সুইডেনের পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই দেশে সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সুইডিশ সাংবাদিকদের কাজে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
“বাংলাদেশ সরকারের ওই ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরেই ভুঁইফোঁড় একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে হাস্যকর কিছু অভিযোগ নিয়ে সুইডিশ পুলিশের কাছে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে মাত্র। এটাকে মামলা বা আইনি পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”
তাসনিম বলেন, “সুইডেনে নিবন্ধিত সংবাদমাধ্যমের প্রকাশক হিসেবে আমি বিশেষ আইনি সুরক্ষা পাই। এই দেশে সাংবাদিকতার ‘অপরাধে’ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না।”