শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে পূর্ণাঙ্গ আইনের প্রয়োজনীয় ও রূপরেখা’ শীর্ষক সভায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবির হিরুর সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন এর সদস্য সচিব অয়ন আমান।
সভায় সংগঠনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘদিন পরে হলেও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ আইন করার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে।
“দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নির্বাচন কমিশন গঠনে পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি। সংবিধান সম্মতভাবে আইন করার মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা দরকার।
অদলীয় রাজনৈতিক সামাজিক মঞ্চের প্রস্তাবিত রূপরেখা সম্পর্কে বলা হয়, অদলীয় শ্রম-কর্ম-পেশার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সংসদের ‘উচ্চকক্ষ’ গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত স্বাধীন সংস্থা হতে হবে।পাশাপাশি সংসদের ‘উচ্চকক্ষ’ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে আধা বিচার বিভাগীয় বলে গণ্য করা, কেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও শিল্প এলাকা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অফিস করা, নির্বাচনকালীন সময়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ আরও বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।
সভায় আলোচক হিসেবে ব্যানারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের নাম থাকলেও তারা উপস্থিত হননি।
তবে আলোচনায় সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও সাখাওয়াত হোসেন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়।