ইতিহাসে জিয়ার নাম ‘খুনি’ হিসেবেই থাকবে: হাছান মাহমুদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন ‘খুনি ও বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2021, 01:24 PM
Updated : 8 Oct 2021, 01:24 PM

শুক্রবার ঢাকায় শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন।

১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য তখনকার সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে দায়ী করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।"

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “কারবালার প্রান্তরেও শিশু ও নারীদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও হত্যা করা হয়েছে।

“শিশু শেখ রাসেলকেই শুধু নয়, চার বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, বারো বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, চৌদ্দ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকেও ঘাতকেরা হত্যা করেছে। আসলে বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও খুনিরা ভয় পেত।

হাছান মাহমুদ বলেন, সেনাপ্রধান, উপপ্রধান বা যে কোনো সেনা অফিসারের দায়িত্ব ছিল নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে ছুটে যাওয়া।

“আর জিয়াউর রহমানকে যখন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর দেওয়া হয়, তখন সে বলেছিল, 'সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার'। অর্থাৎ সে আগে থেকেই জানত।

“বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুক-রশীদ বলেছে, তাদের কাছে হত্যা পরিকল্পনা শুনে জিয়া বলেছিল, 'গো এহেড'। সে কারণে জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যায় নয়, শেখ রাসেল হত্যায়ও যুক্ত।"

সামরিক শাসক থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে জিয়া ‘হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, “তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি মিলিতভাবে জিয়ার বিচার চেয়েছেন।

“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার এবং ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে জিয়া পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের মুখোশ তাতে আরো উন্মোচিত হবে এবং আজকে যারা তার দল করে, তারা সেদিন লজ্জিত হবে।”

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, মো. আলাউদ্দিন সাজু বক্তব্য দেন।