তিনি বলেন, “দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর খোঁজ রাখতেন আমাদের প্রয়াত মহাসচিব। সকালে হোক বা বিকেলে একবার আমাকে কল করতেন। আমার কিছু লাগবে কি না, সেই খোঁজ রাখতেন তিনি।”
রোববার বাবলুর আত্মার শান্তির কামনায় দলের আয়োজনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয় ।
বাবলুকে ‘দেশপ্রেমিক রাজনীতিক’ আখ্যা দিয়ে জিএম কাদের বলেন, “তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার মৃত্যুর পর সারা দেশ থেকে দল-মত নির্বিশেষে মানুষ শোক জানিয়েছে। বিভিন্ন দূতাবাস থেকে আমরা শোকবার্তা পেয়েছি।”
বয়সের ব্যবধান থাকলেও বাবলুকে ‘বন্ধু’ মনে করতেন বলে জানান কাদের।
“মৃত্যুর পর মানুষের আসল মূল্যায়ন হয়। তার আর আমাদের কাছে কিছু চাওয়ার নেই। আমাদের দোয়া তার কাজে লাগবে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অতিরিক্ত মহাসচিব সহিদুর রহমান টেপা, সংসদের বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঁঙ্গা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জানান, বাবলুর শোকসভা আগামী ৮ অক্টোবর ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে হবে।
দলের মহাসচিবের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি।
১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া বাবলু দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য বাবলু এইচ এম এরশাদের সরকারে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
এ সংক্রান্ত খবর