এক দফার বাইরে কোনো পথ নাই: গয়েশ্বর

‘এক দফা’র আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 02:42 PM
Updated : 1 Oct 2021, 02:42 PM

শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ওরা (সরকার) কয়েকদিন পরপরই আমাদেরকে আইটেম দেয়। সেই আইটেম নিয়ে আমরা দৌড়াদৌড়ি করি। সব আইটেম বর্জন, একটাই আইটেম হতে হবে। এক দফা, এক দাবি হাসিনা তুই কখন যাবি। যদি পারেন কর্মীরা বলবেন, এখন যাবি। তার বাইরে কোনো পথ নাই।

“খুকুমনি, পরীমনি এটা-সেটা গল্প একটার পর একটা আইতাছে। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু না। আমাদের জাতীয় জীবনে বিষয়বস্তু হচ্ছে- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমার নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা। এজন্যই আমাদের লড়াই।”

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘‘আন্দোলন আসছে। আর আমি যদি বলি কর্মীদের তোরা সাবধানে থাকিস, তাহলে কী তারা আন্দোলনে আসবে? তাদেরকে বলতে হবে তোমরা আইসো, আমি থাকব। আবার থানার ওসিকে বলে যে ভাই আমি কিন্তু করি নাই। ওই ওরা করছে, তার অপছন্দের যারা আছে তাদের কথা বলে।”

নেতাকর্মীদের ‘আজকে কী পাব, কী খাব’- তা মাথা থেকে পরিত্যাগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।

‘নির্বাচন কমিশন পূর্ণ গঠন প্রসঙ্গে’

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের পাঁচটা ফেরেস্তা দিলে কী হবে, সরকারে যদি একটা শয়তান থাকে। সরকারের শয়তানটা জরুরি তাড়ানো। তারপর নির্বাচন কমিশন যে হয় হোক। সেখানেও একটা নির্বাচন করার আমাদের সম্ভাবনা থাকবে।

“সেই কারণেই আজকে আমাদের লড়াইটা কিন্তু সেখানে করব। আজকে আমাদের কাছে অনেকে আসে-বলে, সংস্থা-টংস্থার লোকজন কেউ কেউ কানে কানে বলতে চায় কী… মানে এই দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ নির্বাচনের আগে আপনাদের সবাইকে অকেজো করে দেবে। কী অকেজো করবে? জেল দেবে, জুলুম করবে যাতে নির্বাচন করতে না পারেন। আমি তাদেরকে বলব, শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করেন বিএনপির থেকে কে কে নির্বাচন করতে পারবে না, তালিকা পাঠাতে বলেন-তারা নির্বাচন করবে না।”

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মীরা নির্বাচন করবে। পদত্যাগ করেন, পার্লামেন্ট বাতিল করেন। গ্রেড এ- নো, গ্রেড-বি –নো। আমাদের থার্ড গ্রেডের কর্মীরা ৩০০ সিটে নির্বাচন করবে। যদি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসতে পারেন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করব।”

একইভাবে তিনি বিএনপির প্রার্থীরা জিতলে আওয়ামী লীগের নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার মানসিকতা তৈরির জন্য আহ্বান জানান।

সংগঠনের সভাপতি শাহ আবদুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হারুনুর রশীদ, নিলোফার চৌধুরী মনি, খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যালবার্ট পি কস্টা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন