মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে একটি দলের নেতা ছিলেন মুহিবুল্লাহ। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “মুহিবুল্লাকে রোহিঙ্গা শিবিরে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরও একটি কু-নজীর।
“রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে যে জানমা্লের কোনো নিরাপত্তা নেই, আইন শৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই, তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হল উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যা।”
তিনি বলেন, “মুহিবুল্লাহ, যিনি রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।”
রোহিঙ্গা শিবিরে মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
ফখরুল আরও বলেন, “এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয় না, কিংবা বিচার হলেও সরকারি আনুকূল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় বলেই দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয়।
“নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়।”
“বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা যেমন ভুলুণ্ঠিত হবে, তেমনি জানমালেরও কোন নিরাপত্তা থাকবে না,” বলেন ফখরুল।