মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই মত প্রকাশ করেন তিনি।
‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি।
অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, “শত প্রতিকূল পরিস্থিতি হত্যাচেষ্টা-এসব পার হয়ে দলকে সংহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) এশিয়া কেন সারা পৃথিবীর এক প্রধান নেতার স্থান অর্জন করেছেন। তার মধ্যে আমি যে আত্মবিশ্বাস দেখি, নিজের দেশ এবং পররাষ্ট্রে তার যে সাফল্য, তাতে তার সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন অন্য কোনো নেতা আমাদের সামনে নেই।
“দেশ এগিয়ে যাওয়া দেখতে হলে দেখতে হবে দেশের স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে কি না, দেশের অর্থনীতি বেড়েছে কি না, বিদ্যুৎ সংযোগ বেড়েছে কি না, লোকের জীবনের উন্নয়ন হয়েছে কি না। এই বিষয়টি গর্বের যে বাংলা ভাষা পৃথিবীর মাতৃভাষার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এজন্য শেখ হাসিনা ত্বরিত যে উদ্যোগটা নিয়েছিলেন, এটা সামান্য তৃপ্তি নয়, অসাধারণ।”
পবিত্র সরকার বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু করাসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া এটা সাধারণ নেতার কাজ নয়।
“যেখানে আমেরিকা হাঁচলে আমাদের কাশতে হয়, সেখানে শেখ হাসিনা পৃথিবীর মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদাবোধ এবং সেই সঙ্গে দেশপ্রেমের। দেশের মর্যাদা এমন এক উচ্চতায় পৌছেছে যে বাংলাদেশ সমস্ত পৃথিবী সম্মান করে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “যে বাংলাদেশকে আমরা পঁচাত্তরের পর হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ তিনি (শেখ হাসিনা) ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, উন্নয়নের যাত্রায় যুক্ত করতে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সন্তান -রিবারকে তিনি সেভাবে সময় দিতে পারেননি। সব সময় তিনি দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, “আমাদের বড় দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করে ধরে রাখা। এজন্য আমাদের যোগ্য এবং সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “তার গণতান্ত্রিক ভাবনার সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচন এবং তাদের যে অবস্থার পরিবর্তন, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় তার যে অবদান এবং লড়াই সেটি নিঃসন্দেহ প্রশংসনীয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, “শেখ হাসিনা না আসলে নারীর ক্ষমতায়ন এখনকার মতো হত না।”
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের বর্তমানের নয়, তিনি দেশের ভবিষ্যতের। তার হাতেই দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ। তার বিকল্প কেউ নাই, তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী।”
ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। বক্তব্য রাখেন এশিয়ান এইজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাদীম কাদির, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।