দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি: সরকারকে দায়ী করলেন বিএনপির মোশাররফ

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির পেছনে ‘সরকারের মধ্যস্বত্বভোগীরা’ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 08:39 AM
Updated : 28 Sept 2021, 08:39 AM

মঙ্গলবার ঢাকায় কৃষক দলের এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ একটাই, তাদের মধ্যস্বত্বভোগীরা। এরা সকলেই আওয়ামী লীগ করে অথবা আওয়ামী লীগের সমর্থক।”

সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ‘দলীয়করণের’ অভিযোগ এনে এই বিএনপি নেতা বলেন, “তাদের কাছ থেকে জনগণ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। এই প্রশাসনও আওয়ামী লীগের সাথে সহযোগিতা করে আমাদের কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম দিচ্ছে না।

“এই অবস্থায় আমরা কার কাছে দাবি করব? এই সরকার নিজেরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের এবং তাদের দোসরদের লাভবান করার জন্য এই ঘটনা করছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, কিন্তু কৃষক পণ্যের দাম পাচ্ছে না।”

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘সরকার হটানোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই’ মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো আজকে এজন্য দায়িত্ব নিতে হবে।”

“আমরা আশাবাদী, এদেশের জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপির নেতৃত্বে গণ আন্দোলন সৃষ্টি হবে। এই গণআন্দোলনের মুখে এই গায়ের জোরের সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। বিএনপির নেতৃত্বে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই কাঙ্ক্ষিত আন্দোলনে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।

মোশাররফ বলেন, “আজকে কৃষক দল যে দাবিতে মানববন্ধন করছে কৃষিপণ্য ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে, এটি সারা দেশের মানুষের দাবি।

“সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। সারাদেশের মানুষ দাবি জানাচ্ছে- একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।”

গত ২০ সেপ্টেম্বর কৃষক দলের ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। এরপর এটাই কৃষক দলের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী, টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম  বক্তব্য দেন।