তিনি বলেছেন, “দীর্ঘ দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে নেই বললেই চলে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নানা গলদ আছে আওয়ামী লীগে।
“আবার বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে কোন কথাই বলতে পারছেন না। বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়েও সংকট রয়েছে, রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি। এমন বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছে।”
বুধবার রাজধানীতে দলীয় এক মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীদের সামনে এমন আশার বাণী শোনান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। বিএনপি এক যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে রাজনীতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে লড়াই করছে।”
মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে ওই মতবিনিময় সভায় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে দেশের মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়েছে। সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের চাপে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে টিকতেই পারছে না। টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাবে দিশেহারা হয়ে নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেক প্রার্থী।”
তারপরও জাতীয় পার্টি নির্বাচনের মাঠে ‘লড়ে যাবে’ মন্তব্য করে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, “যারা মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করতে পারবে না, তাদের স্থান জাতীয় পার্টিতে হবে না। ভোট হচ্ছে অধিকার, তাই ভোটাধিকার নিশ্চিতে লড়াই করতে হবে।
“দেশের মানুষ তাদেরই পছন্দ করে যারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারে। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তারা দেশের মানুষের কাছে ঘৃণিত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।”
বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান উপস্থিত ছিলেন।