কাউন্সিলর সেন্টুর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টি নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 03:13 PM
Updated : 19 Sept 2021, 03:13 PM

রোববার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক সম্পতি এ নোটিস পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “নোটিসে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।”

দুদকের নোটিস পেয়েছেন বলে রোববার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন কাউন্সিলর সেন্টু, যিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যও।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাদের (দুদক) চিঠি পেয়েছি। প্রতিবছর আমি রিটার্ন জমা দেই। এখন তারা আমার কাছে যেগুলো চেয়েছে শর্ট টাইমের মধ্যেই আমি জমা দিয়ে দেব।”

এর আগে ক্যাসিনো ব্যবসায় মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদও করে দুদক।

দুদক কর্মকর্তা আরিফ জানান, জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সেন্টুকে তার নিজের, স্ত্রীর এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিসে উল্লেখ করা হয়, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন।”

মোহাম্মদপুর এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেন্টুর নামে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য মিলেছে। এসব সম্পদ অর্জনের বৈধ উৎস্য যাচাই-বাছাই করতে আইন অনুযায়ী তার কাছ থেকে হিসাব চাওয়া হয়েছে।”

ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওই সময় ২০০ জনের তালিকা ধরে এই অনুসন্ধান শুরু হয়।

দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল এসব অনুসন্ধান করছেন। এ দলের অপর সদস্যরা হলেন- উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।