ওবায়দুল কাদের বলেন, “অপরাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপি এখন ঘরোয়া সিরিজ বৈঠক করছে, এই বৈঠক হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বিএনপি আবারও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে নতুন নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।”
“দেশের চলমান স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যতই চেষ্টা করুক, কখনোই সফল হবে না,” বলেন তিনি।
বিএনপির বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলার অভিযোগ নিয়ে কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার গায়েবি মামলায় বিশ্বাসী নয়। কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখে।”
বিএনপি বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউ ইয়র্কে আগমনের প্রাক্কালে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপির এই ষড়যন্ত্রমূলক দুরভিসন্ধিরও নিন্দা জানাই।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের বৃহৎ ফোরামে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি।
“আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ সফরকে কেন্দ্র করে নিউ ইয়র্কে শেখ হাসিনা পৌঁছার আগেই বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করছে।”