বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানাানোর পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “শহীদ শেখ কামাল তারুণ্যের অহংকার এবং একজন সৃষ্টিশীল অনন্য প্রতিভার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
“বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ কামালের বহুমুখী সৃজনশীল প্রতিভার সৃষ্টি আজকে লক্ষ কোটি তরুণের অন্তরে প্রেরণার প্রদীপ্ত প্রজ্জ্বলিত শিখা হিসেবে যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
এর আগে ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতা-কর্মীরা।
আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ অগাস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কামাল ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’ও গড়ে তুলেছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কলঙ্ক জাতির কপালে কলঙ্ক তিলক হিসেবে ছিল- সেই কলঙ্কের কালিমা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পূর্ণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আলোর পথে যাত্রা শুরু করছেন,
“সেই আলোর পথের অভিযাত্রী হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান করব- আজকের দিনে এটাই অঙ্গীকার।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ঝরে যায় শেখ কামালের জীবন।
শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন।
ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যও ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ভর্তি হন।
১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সঙ্গে শেখ কামালের বিয়ে হয়। ১৫ অগাস্ট সুলতানাকেও হত্যা করা হয়।