ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক এই দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরো এই মত জানিয়েছে বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে পলিটব্যুরোর ভার্চুয়াল এই সভা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশে করোনা অতিমারী আশংকাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ঠেকাতে সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪ দিনের লকডাউন দিয়ে আকস্মিকভাবে একদিনের নোটিশে গত ১লা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি চালুর ঘোষণা দেয় যা, পূর্বাপর বিবেচনাহীনতা ও হটকারিতাপূর্ণ এবং লকডাউনের নামে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ঈদের পর যে লকডাউন শুরু হয়েছে, তাতে সব শিল্প কারখানাও ৫ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সরকার জানিয়েছিল।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের বারবার অনুরোধে শুক্রবার সরকার জানায়, রপ্তানিমুখী কারখানা রোববার থেকে লকডাউনের আওতামুক্ত।
এই সিদ্ধান্ত জানার পর শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে পোশাককর্মীরা ঢাকায় রওনা হয়, যাতে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয়, “গ্রামে চলে যাওয়া উদ্বিগ্ন শ্রমিকদের দূরদূরান্ত থেকে কাজে যোগদানে পরিবহনের ব্যবস্থা না করে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, যা অমানবিকতার চূড়ান্ত।“
ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, “মনে হয়, সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বা করোনা মহামারী রুখতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কোনো সমন্বয় নেই। সরকারের এই বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর মিছিলকে আরও প্রলম্বিত করবে।”
সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরূল আহসান আলোচনায় অংশ নেন।