কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: ফখরুল

লকডাউনের মধ্যে রপ্তানিমুখী কলকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি আত্মঘাতি’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2021, 08:06 AM
Updated : 1 August 2021, 10:08 AM

রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “কি রকম তুঘলকি কারবার- আগে বলা হল কারখানা খোলা হবে না, ৫ তারিখ পর্যন্তই বন্ধ থাকবে। আবার হঠাৎ করেই বলা হল কলকারখানা খোলা হবে। কি করে লোকগুলো আসবে তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার দেখা যাচ্ছে, রাত্রিবেলা বলছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন খোলা থাকবে।

“বদ্ধ উন্মাদনা ছাড়া আমি কিছু দেখতে পাই না। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে যে, অযোগ্যতা, দুর্নীতিপরায়নতা এবং আন্তরিকতার চরম অভাবে এসব আত্মহননকারী সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করছে। দিস ইজ টোটালি সুইসাইডাল।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “ আজকের পত্রিকা দেখে তো আপনার সন্ত্রস্ত হয়ে যেতে হয়। যেভাবে মানুষ আসছে একেবারে গাদাগাদি করে, ঘাড়ের উপরে চড়ে… একবার তাদের ছুটি দিলে, সব চলে গেল। আবার ফিরছে তারা মফস্বল থেকে। এখন তো মফস্বলেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেড়েছে। ওইগুলো নিয়ে তারা আবার ফিরে আসছে। আমরা মনে করি, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চরম ব্যর্থতার জন্য সকল দায়-দায়িত্ব নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গতকাল শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার অবলীলায় জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করছে। একদিকে সরকার বলছে, প্রতি সপ্তাহে ৬০ লক্ষ টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। অথচ গত ৭ মাসেও ৬০ লক্ষ টিকা দিতে পারেনি। টিকা প্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই প্রতি মাসে এক কোটি টিকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে তারা, যা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ব্যতিত কিছুই নয়।

“প্রতি মাসে এক কোটি টিকা প্রদানের জন্য টিকা প্রাপ্তির উৎস সরকার এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকা নিয়ে এসব উক্তি এখন হাস্যকর। এগুলো যে ফাঁকা বুলি- এটা বুঝতে আর জনগণের কোনো বাকী নেই।”

সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত পরিসংখ্যান না দিয়ে প্রতারণা করতে ‘অসত্য তথ্য’ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া আরও ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ডা. রফিকুল ইসলাম, তাইফুল ইসলাম টিপু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের(ড্যাব) অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও অধ্যাপক আব্দুস সালাম।