সোশাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দেওয়া অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘যোগাযোগ ও লেনদেন’ ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
Published : 30 Jul 2021, 09:04 PM
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, “সেফুদা তাকে (হেলেনা জাহাঙ্গীর) নাতনি হিসাবে সম্বোধন করে থাকে। তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং লেনদেন আছে।”
ফেইসবুক লাইভে বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে ২০১৮ সালে আলোচনায় আসেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবাসকারী সেফুদা। ফেইসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকার আদালতে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছিল।
এক আইনজীবীর দায়ের করা ওই মামলায় সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তার সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আওয়ামী লীগে পদ হারানো ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে বিদেশি মদ, ক্যাঙ্গারু ও হরিণের চামড়া, বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
পরে মিরপুরে হেলেনার মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপি টিভির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটিতে ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেও ছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর চাউর হলে সম্প্রতি তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলননে বলেন, নানা ধরনের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে সোশাল মিডিয়ায় ‘অপপ্রচার চালানোর একটি সংঘবদ্ধ চক্র’ গড়ে তুলেছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
“তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মানহানি ও সুনাম নষ্ট করেছেন। নিজের খ্যাতি লাভের আশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে খ্যাতনামা হিসাবে উপস্থাপন করতে চাতুরির আশ্রয় নিতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।”
ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে আসা হেলেনা ‘অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী’ ছিলেন মন্তব্য করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মঈন জানান, তার বিরুদ্ধে পাঁচটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।