৮৭ বছর বয়সী মুহিত এখন ঢাকার বনানীর বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তার বড় ছেলে শাহেদ মুহিতও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মুহিত ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন।
তার বাসায় দেখভালে থাকা মোহাম্মদ বাচ্চু মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যারের (মুহিত) বাসায় একজন গৃহকর্মীর করোনা ধরা পড়েছিল। স্যার বা ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি বা বাসার কোনো সদস্যের কোনো উপসর্গ ছিল না। তবুও আমিসহ বাসার ১০ জনের করোনা টেস্ট করানো হয়।”
২৪ জুলাই নমুনা নেওয়ার পরদিন ফল পান তারা।
বাচ্চু বলেন, “স্যার (মুহিত) ও স্যারের বড় ছেলের করোনা ধরা পড়েছে। তবে স্যার ও বাসার সবাই শারীরিকভাবে ভালো রয়েছে। সবাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রয়েছেন।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি হুইল চেয়ারে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন মুহিত।
সেদিন তার ছোট ভাই এ কে এ মুবিন, এএসএ মুইজ, বোন শাহলা খাতুন, শিপা হাফিজা, নাজিয়া খাতুন, রিও আজিজা, মুবিনের স্ত্রী লুলু মুবিন এবং মুহিতের পুত্রবধূ মানতাশা আহমেদ ছিলেন।
পরে মুহিত দ্বিতীয় ডোজও নেন বলে জানান বাচ্চু।
মুহিত ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তার ভাই এ কে আবদুল মোমেন এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।