শিশুদের মাঝে খাদ্য ও  শিক্ষা সামগ্রী বিলিয়ে জয়ের জন্মদিন উদযাপন ছাত্রলীগের

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উদযাপন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 09:31 AM
Updated : 27 July 2021, 09:31 AM

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শতাধিক শিশুর মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সারাদেশেই একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন।

বিতরণ করা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আম, প্যাকেটজাত দুধ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার,  খাতা, কলম ও  স্কেল।

মধুর ক্যান্টিনের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, তরুণদের আইকন হয়ে বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে  তার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবারই তার জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন।

মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন জয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে  তার কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা ও দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাশে থাকবে। একইসঙ্গে  শিক্ষার্থীদের যে কোনো ধরনের যৌক্তিক দাবিতে আমরা কাজ করে যাব।”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন আমরা সর্বপ্রথম সজীব ওয়াজেদ জয়ের চোখে দেখেছিলাম। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, যার সুফল আমরা এখন পাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়- দুজনকেই আমরা পেয়েছি। তিনি মেধাবী একজন ব্যক্তিত্ব এবং পর্দার আড়ালে থেকে সঠিক একজন উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্যান্য রাজনীতিবিদদের তুলনায় নিজেকে সমৃদ্ধ করে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার মা, বাবা এবং জাতির পিতার মত করেই বাংলাদেশের মানুষকে দেখেছেন।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো।

নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।

জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে।

বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।