সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সার্বিকভাবে একটাই কথা- এই সরকারকে যদি না সরানো যায়, তাহলে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল লক্ষ্য ছিল, সেই লক্ষ্য পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন এটা সারা দেশের মানুষের দায়িত্ব এই সরকারকে সরাতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।”
ফখরুলের ভাষায়, এ কাজে বিএনপির ‘দায়িত্ব বেশি’, সে কারণে বিএনপিকেই এ আন্দোলনের ‘নেতৃত্ব’ নিতে হবে।
“সেজন্য আমাদের যেটা প্রয়োজন, আমাদের কখনো হতাশ হওয়া যাবে না, হতাশা ও ব্যর্থতা নিয়ে এগোনো যাবে না। আমাদের অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে, জনগণকে সংগঠিত করতে হবে।”
ফখরুলের অভিযোগ, মহামারীর বিপদের মধ্যে সরকারের ‘অপরিকল্পিত লকডাউন’ বিপদ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
“এই যে অপরিকল্পিত লকডাউন এবং তারা যে সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে… হাসপাতালগুলোতে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ বেড নেই এবং ওষুধ নেই- এই একটা অবস্থা তারা (সরকার) সৃষ্টি করেছে। এর ভয়াবহতায় জনগণের জীবন আজকে বিপন্ন।”
বিএনপি দাবি করেছিল, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে হবে। কিন্তু সরকার ‘কোনো কথাই শোনেনি’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
“শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই একটা নষ্ট সময় চলছে। যে নষ্ট সময়টাতে রাজনীতিবিদদের ভালো থাকা, রাজনীতিবিদদের সঠিক রাস্তায় যাওয়া, রাজনীতিবিদদের সঠিকভাবে রাজনীতিকে নির্মাণ করা- এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে, এখন রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিবিদরা রাজনীতিতে নেই।”
বিএনপি প্রয়াত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আবদুল আউয়াল খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘স্মৃতিতে অম্লান’ শিরোনামে এই ভার্চুয়াল স্মরণ সভা হয়। গত বছরের ২০ জুলাই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবদুল আউয়াল খান।
ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় এ ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও প্রয়াত আবদুল আউয়াল খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান বক্তব্য দেন।