বুধবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে এ মুহূর্তে এই সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
“আমরা আজকে এখানে কবর জিয়ারত করে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেছি যে, তিনি যেন এই ভয়াবহ মহামারী, যা সারাবিশ্বে সমগ্র মানবজাতিকে বিপন্ন করে ফেলেছে, তা থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ যেন এই দেশের মানুষকে ক্ষমা করেন এবং এই ভয়াবহ মহামারী থেকে তাদেরকে মুক্ত করেন।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এমন একটা সময়ে আমরা ঈদুল আজহা পালন করছি, যখন আমাদের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করে এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন, তিনি আজকে কারারুদ্ধ হয়ে আছেন, অসুস্থ অবস্থায়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনি দেশান্তরী হয়ে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন।
মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আমি আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা সবাই দূরত্ব বজায় রাখবেন, মাস্ক পড়বেন এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন।”
তিনি বলেন, “আমাদের দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমি ঈদ মোবারক জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি সকলের জন্য, তারা যেন করোনা মহামারী থেকে মুক্ত হতে পারেন।”
বিএনপি মহাসচিব সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে আসেন। সেখানে তারা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদের দিন জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে তিনি দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।
বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহানগর ও যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী এদিন জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।