বললেই পারতেন যে চাপে আছি: জমিয়তকে ফখরুল

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ ২০ দলীয় জোট ছাড়ার জন্য যে সব কারণ দেখিয়েছে, যেসব নাকচ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2021, 12:12 PM
Updated : 18 July 2021, 12:16 PM

তিনি মনে করছেন, ২০ দলীয় জোটে কোনো মতভেদ নেই। সরকারের ‘চাপেই’ বিরোধী এই জোট ছেড়েছে জমিয়তের ওই অংশ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে কয়েকদিন আগে বের হয় জমিয়তের অংশটি। তারা বলছেন, জোটে তাদের ‘যথাযথ মূল্যায়ন’ হচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল রোববার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিরোধী রাজনীতিতে টিকতে পারছেন না, সে কারণে উনারা চলে গেছেন।

“এই কথা বললেই তো হয়- প্রচণ্ড চাপের আমরা টিকতে পারছি না, মামলা-মোকদ্দমায় ভীষণভাবে আমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছি। সেটা না বলে কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে দোষারোপ করা, এটা সঠিক কাজ নয়।”

জমিয়তের অনেকে হেফাজতে ইসলামেও যুক্ত। সাম্প্রতিক আটক অভিযানে তাদের অনেক নেতা গ্রেপ্তার হন।

প্রয়াত নূর হোসাই কাসেমি নেতৃত্বাধীন জমিয়তের এই অংশের নেতা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বলেছিলেন, কাসেমির মৃত্যুর পর তার প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়নি। নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদও করা হয়নি।

ফখরুল বলেন, “মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী সাহেব অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক লোক বলতে যা বোঝায়, তিনি তা ছিলেন। বড় আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদও ছিলেন।”

মাওলানা কাসেমী মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোকবাণী দেওয়া হয়েছিল এবং আলেম-উলামাদের গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের ঘটনার পরপরই বিবৃতি দেওয়া ও বিশেষ সংবাদ সম্মেলন বিএনপি একাধিকবার করেছে বলে জানান ফখরুল।

“কিভাবে উনি বললেন, আমরা কোনো কিছু করি নাই। এটা কেন বললেন, আমি জানি না। উনি সত্য কথা বলেননি। মানুষ আশা করে আলেম-উলামারা সত্য কথা বলবেন।”

শরিয়াহ আইনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “উনারা (জমিয়ত) বলেছেন যে, আমরা শরীয়া আইনে বিশ্বাস করি না।

“উনারা চান, উনারা করুন। আমাদের সব জয়গাতে পরিষ্কার করে বলা আছে যে, আমরা শরিয়াহ আইনের কোনো বিরোধিতা করব না, শরিয়াহ আইনের বিরোধী কোনো আইন পাস করব না। আমরা সরকারে ছিলাম কোনো আইন পাস করি নাই। কিন্তু এই কথা বলা যায় কি যে, আমি শরিয়াহ আইনের বিরোধিতা করেছি?”

“এসব কথা বলার অর্থ হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। আমরা মনে করি, এসব ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে উনারা দূরে সরে আসবেন,” বলেন ফখরুল।

নুর হোসাইন কাসেমীর অনুসারী অংশটি ২০ দল ছেড়ে গেলেও প্রয়াত মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের অনুসারী অংশটি জোটে রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের দল আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী রাজনীতি করছি এবং ২০ দলেও যারা আছেন আমাদের সঙ্গে, তারাও সেভাবে রাজনীতি করছেন এবং পারস্পরিক আস্থা আমাদের মধ্যে চমৎকার আছে।”