বুধবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্মসৃজন, পর্যটন খাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন।
“সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্রদানে যেন স্বজনপ্রীতি না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছায়; এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জারি করা লকডাউনের মধ্যে কাজ হারিয়ে সঙ্কটে পড়া নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় নতুন করে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা এবং ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল রাখতে সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে সাময়িক এ বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগ নিয়ে আমরা যেন গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসাই। এ পরিস্থিতিতে নিজেই হতে হবে নিজের রক্ষক। নিজেদের উদাসীনতা এবং অপরিনামদর্শীতায় উৎসবের যাত্রা যেন জীবনের শেষ যাত্রায় রূপ না নেয়।"
বিধিনিষেধ শিথিল করায় আগামীকাল থেকে সারাদেশে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচল করবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “ইতিপূর্বের ধারাবাহিকতায় সমন্বয়কৃত ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করবে। পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো করোনার বর্তমান সংক্রমণ মাথায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধিসহ শর্তসমূহ মেনে যানবাহন পরিচালনা করবেন।
"শর্ত অমান্যকারী এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"