রোববার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি নির্লজ্জ একজন ব্যক্তি! পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরা কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারাদেশের মানুষ কথা বলছেন।
“তাদের মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি যখন প্রমাণিত হয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে যখন তিনি চিত্রিত হয়েছেন, ছবি তোলা হয়েছে, এগ্রিমেন্ট সই করার সময়ে।”
এতকিছুর পরও ‘এমন অনেকেই’ সরকারে ‘বহাল তবিয়তে’ আছেন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “তারপরেও তিনি পদত্যাগ করছেন না এবং লজ্জা-শরম কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না।”
সরকার চরম দুর্নীতিতে ‘নিমজ্জিত’ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম জেলার হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত পরিমাণ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হোক, অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক, ওষুধের ব্যবস্থা করা হোক।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৫২ শতাংশ হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড নেই। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, একটা জেলা হাসপাতালে পর্যন্ত কোনো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণমাধ্যমে এতটুকু সরকারের সমালোচনা করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে।”
এ অবস্থার পরিবর্তনে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি অনুরোধ জানাব, তরুণদের এখনই জেগে উঠতে হবে, এই ঘোরতর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।”
সরকার সমর্থক কলাম লেখকদের লেখার জবাব দিতে বিএনপিপন্থিদের কোনো উদ্যোগ না দেখে হতাশ ফখরুল বলেন, “আপনারা আমাদের মতাদর্শের যারা, একজনও কিন্তু প্রতিবাদ করে কলাম লিখছেন না। অন্তুত যে কথাগুলো সত্য নয়, সেগুলো তো আপনাদের বলতে হবে।”
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এ অংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আবদুল হাই শিকদার, বাকের হোসাইন, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মোরসালিন নোমানী বক্তব্য দেন।